জসিম সিদ্দিকী: কক্সবাজার পৌরসভার ঝুকিপূর্ণ পাহাড়ে ঢাল ও পাদদেশে বসবাসরত সকলকে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপের কারণে কক্সবাজারে মাঝারী থেকে ভারি বর্ষণ হয়েছে। এ পরিস্থিতিতি আগামী ২/৩ দিন অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে টানা বর্ষনজনিত কারণে যেকোন মুহুর্তে পাহাড় ধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ব্যাপক প্রাণহানি হতে পারে। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের আশপাশে ঝুকিপূর্ণ স্থানে বসবাসরত সকলকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যদি ঝুকিপূর্ণ স্থান থেকে সরে না যান ১১ জুন থেকে তাদেরকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বাধ্য করা হবে।
কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) নাজিম উদ্দীন জানান, প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী লোকজনের নিরাপত্তা নিয়ে এক বৈঠক করা হয়। বৈঠকের পর ওইসব লোকজনকে সরে যেতে নির্দেশ জারি করা হয়। তার অংশ হিসেবে মাইকিংও করা হয়েছে।
কক্সবাজার পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমান বলেন, পৌর শহরে দু’টি মাইক নামানো হয়েছে। পৌর শহরের প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয়, ডি-ওয়ার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাবলিক লাইব্রেরি খুলে দেয়া হয়েছে। যারা আশ্রয় কেন্দ্রে থাকবেন তাদের সেহেরির ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের মালপত্র নিরাপত্তার জন্য পাহারা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারি আবহওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান, বঙ্গোপসাগরে বর্তমানে ৩নং সতর্কতা সংকেত চলছে। এটি চলতি বছরের সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাত। জেলায় আরও ২/৩ দিন ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আশরাফুল আবচার বলেন, পাহাড়ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে ৬টি ওয়ার্ডে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারি ৮৫১ পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়। প্রতি পরিবারে ৪ থেকে ৬ জন সদস্য রয়েছে। বৃষ্টিপাতের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারিদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হবে। তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার জন্য প্রতিটি এলাকায় পর্যাপ্ত শেল্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী কেউ থাকতে পারবে না। তাদেরকে সরে যেতেই হবে। তারা না সরলে আমরা আজকের মধ্যেই সরিয়ে দেবো।