কক্সবাজার : রোহিঙ্গা ক্যাম্প আর পাহাড়ে জনবসতি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের পার্বত্যাঞ্চলে দিনদিন কমে আসছে হাতির আবাসস্থল। পাশাপাশি চলাচলের পথও বন্ধ হয়ে পড়ায় মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশে থাকা এশিয়ান প্রজাতির হাতি। আবাসস্থল ও খাবার সংকটে মাঝেমাঝেই জনবসতিতে হামলা চালাচ্ছে এসব হাতি। গেল ৯ মাসেই কক্সবাজারের উখিয়া ও রামুতে হাতির আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১৫ জন।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে দেখা মেলে এশিয়ান প্রজাতির হাতির। এরমধ্যে মধ্যাঞ্চলে দেখা পাওয়ার হাতির সবই অনাবাসিক। এসব হাতি বাংলাদেশ ও ভারতে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকে। অন্যদিকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে থাকা আবাসিক হাতির সংখ্যা ২৬০ থেকে ২৬৫টি। আবাসিক এই হাতিগুলো চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ পর্যন্ত ১২টি করিডোর বা পথ ধরে চলাচল করে।
হাতি চলাচলের করিডোরের মধ্যে কক্সবাজারেই রয়েছে প্রধান ২টি, রোহিঙ্গা বসতির জন্য যা এখন বন্ধ। ফলে খাদ্যের সংকটে প্রায়ই লোকালয়ে ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছে এসব হাতি, ঘটছে প্রাণহানি। এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও জনবসতি বেড়ে যাওয়ায় আবাসস্থল সংকটে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে হাতিগুলো। জানালেন, হাতি বিশেষজ্ঞ ও প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন’র সাবেক কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইশতিয়াক উদ্দিন আহমদ।
এদিকে, লোকালয়ে হাতির অবাধে ঢুকে পড়া কমাতে কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ। ওয়াচ টাওয়ার বসানোর পাশাপাশি গঠন করা হয়েছে ১০ সদস্যর একটি প্রশিক্ষিত এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আলী কবীর।
প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএনের তথ্যানুযায়ী করিডোর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উখিয়ায় অর্ধশতাধিক হাতি আটকা পড়েছে। এসব হাতিই হামলা চালাচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে।