করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে কিনা সে নিয়ে পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।
আজ শুক্রবার (২৩ জুলাই) দুপরে রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবো কিনা তা এখনও বুঝতে পারছি না। অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তবে সরকারের ব্যবস্থাপনা যথেষ্ট ভালো আছে, আর মানুষকেও আশ্বস্ত করতে হবে।
আগের বিধিনিষেধ খুব একটা কাজে আসেনি জানিয়ে অধ্যাপক খুরশিদ আলম বলেন, আগের দুই সপ্তাহের বিধিনিষেধে তেমন প্রভাব দেখা যায়নি। তবে সীমান্তবর্তী জেলায় সংক্রমণ কমেছে এবং আরও কিছু দিন পরে বিধিনিষেধের প্রভাব বোঝা যাবে।
দেশে করোনার সংক্রমণের এ অবস্থায় অক্সিজেনের কী অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময়ে অক্সিজেনের চাহিদা ৭০ থেকে ৯০ টনের মতো থাকে, কিন্তু এখন তা ২০০ টনে চলে গেছে। তবে এখনও দেশে অক্সিজেনের জোগান আছে এবং ভারত থেকেও আমদানি হচ্ছে।
এছাড়াও, ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে যথেষ্ট সক্ষমতা থাকার পরেও বাইরে থেকে রোগীরা ঢাকায় আসছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে, করোনাভাইরাসের টিকা নিতে বয়সসীমা কমিয়ে ১৮ বছর করা যায় কিনা, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে জানিয়ে অধ্যাপক খুরশিদ আলম বলেন, দেশে অন্যান্য টিকা যেভাবে দেওয়া হয়, সেভাবেই করোনার টিকা দেওয়া কিনা এবং আরও সহজ করা কীভাবে যায় তা নিয়ে ভাবছে সরকার।
আর টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মুগদা হাসপাতালে কয়েকজন বয়স্ক রোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন, যাদের অবস্থা খারাপ। তারা কেউ টিকা নেননি, তাদের টিকা নেওয়া উচিত। টিকা নেওয়ার পরে আক্রান্ত হলেও উপসর্গ কম থাকে। ঝুঁকি কম থাকে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।