এম কামরুল হাসান টিপু লামা বান্দরবান প্রতিনিধি :
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পুলিশের জব্দ করা ৫ গরু উদ্ধার করা হয়েছে। থানা পুলিশ ঘটনার ২৪ ঘন্টার মাথায় মধ্যে এসব গরু ও হ্যান্ডকাপ উদ্ধার করতে সক্ষম হন। তবে আসামী গ্রেপ্তারে পুলিশ জোর চেষ্ঠা চালালেও গহীন বনে আত্মগোপনে থাকায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন আসামীকে আটক করা সম্ভব হয় নি। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়,বুধবার পুলিশের উপর হামলাকারীদের প্রধান হোতা ছিলেন দক্ষিন মৌলভীর কাটার মৃত পিয়ার মোহাম্মদ এর ছেলে জহির উদ্দিন ও আশারতলী নুর মোহাম্মদসহ অনেকই। লোকজন আরো জানান এসময় ২নারী ও ছোট কয়েকজন ছেলেও ছিল। তবে এ ঘটনায় স্থনীয় একজন প্রতিনিধির ইন্ধনে পরে অংশ নেয় আরো ৪০/৫০ জনের মত লোক। তখনই তারা পুলিশের অভিযানে আটক হাতকড়া পড়া নুর মোহাম্মদ, আবুল মনসুরকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় এবং হামলা করে।
সূত্র গুলো আরো জানায়, এ সময় টহলে থাকা পুলিশের সদস্য সংখ্যা ছিলো ৬ জন।
১ জন এসআই,২ জন এএসআই এবং ৩ জন কনেষ্টেবল।
তাদের সবাই মারধরের শিকারে পড়ে। তবে ৪ জনকে আঘাত বেশী করে গরু দস্যুরা। ৭ গরু ও ২ আসামী ছিনিয়ে নেয়ার পর আরো হামলা করতে উদ্যত হলে পুলিশ ৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। ঘটনার কথা স্বীকার করেন, এসআই রাকিবুল হাসান, এএসআই সোহাগ ও এএসআই পীযুষ কান্তি দাস।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানা’র অফিসার ইনচার্জ (ওসি) টানটু সাহা এ সাংবাদিকদের বলেন, টহলরত পুলিশের উপর হামলাকারী গরু চোরাকারবারীরা পাহাড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ২৪ ঘন্টা। তবে পুলিশ সেই ছিনিয়ে নেয়া পশু উদ্ধার করেছে। এর আগে ছিনিয়ে নেয়া ২ হাত কড়াও উদ্ধার করা হয় গতকাল বুধবার সন্ধ্যায়। তিনি আরো জানান, ঘটনার বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।