ঢাকাশুক্রবার , ৬ জুলাই ২০১৮
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নতুন রোহিঙ্গা ক্যাম্প স্থাপন নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে অসন্তোষ

প্রতিবেদক
সিএনএ

জুলাই ৬, ২০১৮ ২:৫৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

উখিয়ায় নতুন রোহিঙ্গা ক্যাম্প স্থাপন নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে অসন্তোষ

শফিক আজাদ,উখিয়া:উখিয়ার পালংখালীতে নতুন রোহিঙ্গা ক্যাম্প স্থাপন নিয়ে দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের অসন্তোষ। কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জ এর মোছারখোলা গ্রামের শত শত মুসলিম পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে কিছু কুচক্রীমহলের ইন্দনে এনজিওরা। এমনকি সংঘবদ্ধ সুবিধাভোগী লোকজন ও এনজিওরা রোহিঙ্গার বসতি স্থাপন করার ষড়যন্ত্র করছে।

অথচ যুগ যুগ ধরে স্থানীয়রা এখানে ঘরবাড়ি তৈরি করে চাষাবাদ উপযোগী জমিতে চাষাবাদ করে এবং অন্যান্য জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির বনজ,ফলজ, ওষুধী গাছ রোপন করে শান্তিতে জীবন যাপন করে আসছিল। এমতাবস্থায় সেখানে নতুন করে রোহিঙ্গা বসতি স্থাপন করা হলে তাদের অপূরণীয় ক্ষতি সহ পরিবেশের মারাতœক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশংকায় স্থানীয় এলাকাবাসীদের মধ্যে ১২০ জনের স্বাক্ষরিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প তৈরির বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী, ত্রাণ ও দুযোগমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন করেছেন। পালংখালী ইউনিয়নের মেম্বার জয়নাল আবেদীন বলেন, হাজার হাজার একর জমিতে সৃজিত গাছপালা ক্ষেত খামার বাড়িঘর উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা এলাকাবাসীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছি।

আরেক ইউপি সদস্য নুরুল হক বলেন, স্থানীয়দের পাশে আমরা না দাঁড়ালে এই অসহায় মানুষগুলো কোথায় যাবে। তারা আম বাগানের আম বিক্রি, পানের বরজের পান বিক্রি ও ক্ষেত খামার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। স্থানীয় আবু মোছা বলেন, আমাদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় আমরা সব কিছু করতে প্রস্তুত রয়েছি। মোহাম্মদ হারুন ও হেলাল উদ্দিন বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিতে চাইলে আমরা রাস্তায় নামবো। হামিদা বেগম বলেন, পানের চাষ করে আমাদের সংসার চলে। আমাদের পেটে লাতি মেরে যারাই আমাদেরকে উচ্ছেদ করতে চাইবে আমরা তাদের প্রতিহত করবো, কোনো মতেই ছাড় দেয়া যাবে না।

জমিলা আক্তার বলেন, সাত জন ছেলে মেয়ে নিয়ে আমরা কোথায় যাবো, আমাদের যেন উচ্ছেদ করা না হয়, তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করছি। আব্দুল হান্নান ও একরাম বলেন, স্থানীয় ও এনজিওদের মধ্যে যে সমন্বয় রয়েছে তা যেন অক্ষুন্ন থাকে। তা নিয়ে অতি সুবিধাভোগীরা এনজিওদের উস্কানি দিলে স্থানীয়দের সাথে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে এতে কোনো সন্দেহ নাই। এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রতি আমরা মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে সব কিছু করেছি। প্রধানমন্ত্রী স্থানীয়দের ব্যাপারেও অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি স্থানীয়দের ঈদ উপহারও দিয়েছেন। আমরা চাইবো না স্থানীয়দের সাথে এনজিওদের মধ্যে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা সৃষ্টি হউক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) একেরামূল ছিদ্দিক জানান, সরকার মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশে^র কাছে প্রশংসিত হয়েছে। সুতারাং সামান্যটুকু ক্ষতি হলেও বৃহৎ স্বার্থে আমরা জায়গাটি পরিমাপ করেছি। তবে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার একটি চিন্তা ভাবনা করা হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট