বাহারছড়ায় খাস জমির মাটি দিয়ে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্লট ভরাট
বিশেষ প্রতিনিধি
টেকনাফের বাহারছড়ায় সরকারি খাস জায়গার মাটি দিয়ে মেরিনড্রাইভ সংলগ্ন বিভিন্ন প্লট ভরাটের কাজ চলছে স্থানীয় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ।এতে করে অবৈধ মাটি পাচারকারীরা কম টাকায় মাটি ক্রয় করতে টার্গেট করেছে খাস জমির মাটি।অনেকে এস্কেভেটর, ট্রাক নিয়ে মাটি খেকোরা মেতে উঠে মাটি কাটার উৎসবে। কেউ কাটে ফসলে জমির মাটি, আর কেউবা কাটে বাগানভিটের সরকারি খাস জমি। কারো মাটি পাচার হয় বিভিন্ন কোম্পানির কেনা প্লটে আবার কারোও মাটি দিয়ে তৈরি হয় রাস্তা।
জানা যায়, এই সাপ্তাহে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মেরিনড্রাইভের পূর্ব পাশে বেশ কয়েকটি বড় বড় প্লট ভরাট করতে দেখা যাচ্ছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাহারছড়া শামলাপুর আচারবনিয়া এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী ডলি নামের এক মহিলা সরকারি জমির মাটি প্রতি গাড়ী ৪শ টাকায় ক্রয় করে নিজ প্লটে মাটি ভরাট করছে।
এদিকে আমজাদ হোসেন খোকন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে স্থানীয় একটা শক্তিশালী মাটি কাটার সিন্ডিকেট।স্থানীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তিবর্গের ছত্র ছায়ায় মূলত এই মাটি কাটার সিন্ডিকেট পরিচালিত বলে অভিযোগ তুলেন স্থানীয় সচেতন মহল। এভাবে ফসলি ও খালের তীরবর্তী স্থান থেকে অবৈধ ভাবে মাটি পাচার করার ফলে কৃষি ও পরিবেশের ব্যাপাক ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে।
এভাবেই মাটি পাচারের কারণে পরিবেশের ভারসাম্যের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।ধীরে ধীরে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভূমিপৃষ্ঠ থেকে সমুদ্রের পৃষ্ঠে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে এসব অঞ্চল সমুদ্রের পানি নিচে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।তাছড়া মাটি পাচারের কাজে ব্যবহৃত প্রায় প্রতিটি ডাম্পার লাইসেন্সবিহীন ও চালাকদের নেই বিআরটিসির কোন কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স ।
বাহারছড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন,” আমি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাটি কাটার বিষয়ে অবগত করেছি”।
এদিকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার( ইউএনও) মোহাম্মদ কায়সার খসরু বলেন,” সরকারি খাস জমি ও ফসলে থেকে মাটি পাচার করা হলে স্পট পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে টেকনাফ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই বিষয়ে দৃশ্যমান কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহন না করায় জনমনে প্রশ্ন উঠছে।