জসিম সিদ্দিকী: কক্সবাজারের টেকনাফে উপজেলায় আনুমানিক ১৫৯ কোটি ১৮ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার মাদক ধ্বংস করেছে বিজিবি। ৬ জুলাই শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার বিজিবির আঞ্চলিক কমান্ডার এস এম রকিব উল্লাহ ও জেলার সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তৌফিক আজিজের উপস্থিতিতে টেকনাফ-২ বিজিবি সদর দপ্তরে এসব মাদক ধ্বংস করা হয়। ধ্বংসের তালিকায় ছিল ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের ২০ মার্চ পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, দেশি-বিদেশি মদ, বিয়ারসহ বিভিন্ন ব্যান্ডের মিয়ানমারের সিগারেট।
সেগুলোর মধ্যে ৫২ লাখ ৬৯ হাজার ৮৬৭টি ইয়াবা, ১ হাজার ৪৭৭ বোতল ফেন্সিডিল, ১৩ হাজার ৩০০ কেজি গাজা, ৬৯৫ লিটার চোলাই মদ, ৩ হাজার ৯৯০ ক্যান আন্দামান বিয়ার, ৩ হাজার ৩৭৩ ক্যান ডায়াব্লু বিয়ার, ৩ হাজার ৫১৮ ক্যান সিংগা বিয়ার, ৫৪৫ ক্যান চ্যাং বিয়ার, ৩৬০ ক্যান চেঞ্জ ক্লাসিক বিয়ার, ৭২৪ বোতল ম্যান্ডেলা রাম মদ, ২০৭ বোতল গ্রান্ড রয়েল হুইস্কি, ২২ বোতল গ্রান্ড হুইস্কি, ৩৯ বোতল গারদা মদ, ৫ বোতল ঈগল হুইস্কি, ৪ বোতল গোল্ড মদ, ৩ বোতল ডাবল ব্লাক, ১২ বোতল রয়েল ড্রাইগ্রান, ৩ বোতল মিয়ানমার ড্রাইগ্রান, ৩০ বোতল মেরিন হুইস্কি, ৯ বোতল ড্রাগন রাম, ১২ বোতল জামালিকা, ২ বোতল মিয়ানমার ওল্ডসহ ২৭ হাজার ৩২৫ প্যাকেট মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রকার সিগারেট ধ্বংস করা হয়।
এর আগে মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে বিজিবি কক্সবাজারের আঞ্চলিক কমান্ডার এস এম রকিব উল্লাহ বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। যত বড়ই প্রভাবশালী হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক জব্দ করতে বিজিবির অভিযান আরও গতিবান করা হবে। তিনি মাদক নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি মিডিয়াকর্মীসহ সব স্তরের নাগরিকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের-৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান, টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফেেট্নন্ট কর্নেল মো.আছাদুদজামান চৌধুরী, টেকনাফের সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণব চাকমা ও টেকনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত বড়ুয়াসহ সরকারের ঊধ্বতন কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।