জেলা প্রশাসকের প্রদত্ত মাংস বন্টন বানিজ্যের প্রতিবাদে সোহেলের পরিবারে হামলা
ক্রাইম রিপোর্টার
কক্সবাজার সদর বালিকা মাদ্রাসা পাড়া উচ্ছেদকৃত জলবায়ু উদ্ভাস্তু খুরুশকুল পূর্ব হামজার ডেইল ইসলামাবাদে স্থানান্তরিত আশ্রয় প্রকল্প ৪২২ পরিবারের শামসুল আলম ও মনসুর বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার শিকার সোহেলের পরিবার। বিগত পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের বরাদ্দ দেওয়া গোস্ত বন্টন বানিজ্যের প্রতিবাদ কে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় কোরবানির দুইদিন আগে প্রতিবন্ধী শফিউল্লাহ মাস্টার, সোহেল,শামসুল আলম সহ চার জনের নেতৃত্বে দুস্থ অসহায় পরিবারে গরু পাওয়ার আবেনে জেলা প্রশাসক বরাবরে ৫১ জনের একটা লিস্ট জমা দেয়। সেই ৫১ জনের লিস্টের ভিত্তিতে কোরবানির দ্বিতীয় দিন জেলা প্রশাসকের বরাদ্দ থেকে ১০ কেজি মাংসের একটি ব্যাগ শামসুল আলম বুঝে নিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় নিয়ে আসে।
পরবর্তীতে মাংস গুলো ৫০০/৬০০ গ্রামের পুটলা করে ১৪ জনের কাছে ১০০ টাকা করে মোট ১৪০০ টাকার গুরুতর বন্টন বানিজ্য করে বলে অভিযোগ উঠে শামসুল আলমের বিরুদ্ধে। এই গোস্ত ১৪জন অসহায়, দুস্থ,প্রতিবন্ধীদের মাঝে বন্টন বানিজ্য করে শামসুল আলম। পরবর্তীতে এই বন্টন বানিজ্যের প্রতিবাদ নিয়ে শামসুল আলমের সাথে সোহেল ও অন্যান্যরা কথা বললে উল্টো সবাইকে অকত্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি ধমকি দেয় সেই শামসুল আলম। এই নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার কথা কাটাকাটি হয় শামসুল আলম ও সোহেলদের সাথে। সেই ক্ষোভে সাংবাদিককে সোহেল গালিগালাজ করেছে বলে মিথ্যে নাটক সাজায় শামসুল আলম এরই প্রেক্ষিতে উস্কানীমূলক ঘটনা সাজিয়ে সোহেল ও তার বড়বোন শামসুন্নাহারের উপর দলবদ্ধ হামলা করে বেদড়ক মারদর করে গুরুতর রক্তাক্ত ও জখম করে। ঘটনা স্থলে উক্ত সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়। পরবর্তীতে আহত শামসুন্নাহারকে সাংবাদিক উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসা দেয় বলেও জানা যায়। এদিকে সোহেল ও অন্যান্যরা শামসুল আলম ও মনসুর বাহিনীর চরম অনিয়ম দূর্নীতি ও গোস্ত বন্টন বানিজ্যের জোর প্রতিবাদ করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সহ সকল আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।