স্কুল ও মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণি ও সমমানের সমাপনী পরীক্ষায় কয়টি বিষয় ও কত নম্বর থাকবে এ বিষয়ে আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়। একই সঙ্গে সৃজনশীল এবং নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের মানবণ্টনের রূপরেখাও চূড়ান্ত করার বিষয়টি ওঠে ওই সভায়। আজকের বৈঠকে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসার কথা ছিল। তবে এনসিসিসির সভায় এসব বিষয় আরও পর্যালোচনা করে ফের বৈঠক হবে আগামী ৩১ মে।
সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, এতে শিক্ষার্থী অভিভাবকদের কোনো উদ্বেগের কারণ নেই, তারা নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে যাক। সরকার এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না, যা শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হয়।
শিক্ষাবর্ষের পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও জেএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের রূপরেখা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ নিয়ে ধোঁয়াশায় আছেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন বাতিলের আলোচনা-সমালোচনার ঝড় চলছে দীর্ঘদিন। নৈর্ব্যক্তিক থাকবে কী, থাকবে না; কত বিষয়ের পরীক্ষা হবে; একেক সময়ে সরকারের দায়িত্বশীলরা একেক রকম বক্তব্য দিচ্ছেন। তবে কোনোটাই চূড়ান্ত নয়। ফলে এখনো প্রশ্নের মানবণ্টন চূড়ান্ত করতে পারেনি পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। পরীক্ষাগ্রহণ করে শিক্ষাবোর্ড একটি সুপারিশ করেছে।
জানা যায়, শিক্ষাবিদ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন মহল থেকে এমসিকিউ তুলে দেওয়ার সুপারিশ এসেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। বিষয়ভিত্তিক নম্বর কমিয়ে মোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষা কমিয়ে আনার চিন্তাও রয়েছে। এর মধ্যে বাংলা ও ইংরেজি দুটি বিষয়ে ৫০ নম্বর করে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা কমানোর সিদ্ধান্ত হতে পারে। জেএসসিতে ঐচ্ছিক বিষয়ের (গার্হস্থ্য অর্থনীতি বা কৃষি) পরীক্ষা তুলে দিয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়নের সুপারিশ করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় এমসিকিউ থাকবে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে সোহরাব হোসাইন জানান, কোনো পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত আজ পর্যন্ত নেই। তবে ইতিমধ্যে যারা এই পদ্ধতির সঙ্গে আছে তাদের জন্য না হলেও আগামীতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমানোর অনেক সুপারিশ আছে সেই জন্য এই স্তরের কারিকুলামও ছোট হতে পারে।
বোর্ডের সুপারিশ চূড়ান্ত হলে যেমন হতে পারে পরীক্ষার নম্বর
বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র মিলে ১০০, আগের ১৫০ নম্বর থেকে ৫০ বাদ। একইভাবে ইংরেজির দুটি পত্রে ১০০ নম্বর; এখানেও ৫০ নম্বর বাদ। গণিতে ১০০, বিজ্ঞানে ১০০, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ে ১০০, ধর্মে ১০০ এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে ৫০ নম্বরসহ মোট ৬৫০।
আগে গার্হস্থ্য অর্থনীতি বা কৃষিতে ১০০ নম্বরসহ ১০টি বিষয়ে ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষা ছিল। এ ছাড়া ১০০ নম্বরের চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে।