ঢাকাশনিবার , ১৪ আগস্ট ২০২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বাবা খুন

প্রতিবেদক
সিএনএ

আগস্ট ১৪, ২০২১ ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ মোল্লা বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী চৌকিদার হাট যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তের গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। এ সময় এক দুর্বৃত্তসহ দুইজন আহত হন।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে উপজেলার মাইজচরা গ্রামে বিএনপির এ নেতার বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হারুনুর রশীদ মোল্লা (৪৫) উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং একই ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের মৃত নজিবুল হকের ছেলে। আহতরা হলেন- তার ভাতিজা রমিজ উদ্দিন ও দুর্বৃত্ত মো. গিয়াস উদ্দিন। আহতদেরকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতের ভাই আমিনুল হক বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে নিহতের ছেলে সজিবের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কয়েকজন যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বাগবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৫ থেকে ২০ জন দুর্বৃত্ত স্থানীয় চৌকিদার বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে সজিবকে হত্যার উদ্দেশে খুঁজতে থাকে। খবর পেয়ে হারুনুর রশীদ মোল্লা ছেলেকে বাঁচানোর জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে রাত ৮টায় স্থানীয় চৌকিদারহাট বাজারের উদ্দেশে রওয়ানা দেন। যাত্রাপথে তিনি তালতলা এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তদের মুখোমুখি হন।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এ সময় অস্ত্রধারী রিয়াদ, নাফিস ও ইউসুফসহ ১৫ থেকে ২০ জন দুর্বৃত্ত তাকে (হারুনুর রশীদ মোল্লা) গুলি করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পেটের নাড়ি-ভুঁড়ি বের করে হত্যা করে। তার সঙ্গে থাকা ভাতিজা রমিজ উদ্দিনকেও (২৫) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে সন্ত্রাসীরা। তবে তার আরেক ভাই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। এরপর স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মারাত্মক আহত অবস্থায় তার ভাতিজা রমিজ উদ্দিন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’

উল্লেখ্য, নিহত হারুনুর রশীদ মোল্লা ২০১১ সালে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে আন্ডারচর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন এবং ২০১৬ সালে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, ‘হারুনুর রশীদ মোল্লাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। ওই ঘটনায় রমিজ উদ্দিন ও মো. গিয়াস উদ্দিনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহেদ উদ্দিন বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

সম্পর্কিত পোস্ট