আজ ১৫ আগস্ট বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহানগরীর নওদাপাড়া বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, নওদাপাড়া ভাড়ালিপাড়া এলাকার রুস্তম আলীর মেয়ে ও শাহমখদুম উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী আনিকা খাতুন (১৩), শাহমখদুম থানা মোড় এলাকার ইসলাম হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন পিঙ্কু (২৪) এবং সবুজ ইসলাম (৩২)। তারা উভয়েই ডিসের লাইনের কাজ করতেন। ডিস সংযোগকারী জহিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহতের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এর প্রতিবাদে স্থানীয়রা রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়ক অবরোধ করে একটি বাস ও একটি ট্রাকে ভাঙচুর চালায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করতে থাকলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, রাজশাহী থেকে নওগাঁ যাওয়ার পথে অ্যারো বেঙ্গল নামের একটি বাস নওদাপাড়া বাজার এলাকায় এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ সময় রাস্তার পাশ দিয়ে একই দিকে যাওয়া একটি মোটরসাকেলকে ধাক্কা দিয়ে পাশের লাবিয়া লাইব্রেরি নামের একটি বইয়ের ঘরে ঢুকে পড়ে। দুর্ঘটনায় জাহাঙ্গীর ট্রেডার্স নামে ওই লাইব্রেরির পাশের একটি দোকানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ঘটনাস্থলে ওই মোটরসাইকেলের দুই আরোহী ও স্কুলছাত্রী নিহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, অ্যারো বেঙ্গল নামেক বাসটি চালকের পরিবর্তে হেলপার চালাচ্ছিল। অদক্ষ হওয়ায় অসাবধানতার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনার পর বাসচালক ও তার সহযোগী পলাতক রয়েছে। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শাহ মখদুম থানার ওসি বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত বাসের যাত্রীদের উদ্ধার ও ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলে। এখন ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বাসের চালক ও তার সহযোগীকে আটকের চেষ্টা চলছে।