ঢাকাশনিবার , ৫ জুন ২০২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুতুবদিয়ায় আশংকা জনক হারে বাড়ছে ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা

প্রতিবেদক
সিএনএ

জুন ৫, ২০২১ ৭:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় বাড়ছে ডায়রিয়া, পেটব্যথাসহ নানাবিধ পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা। কুতুবদিয়া হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।

হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ওয়ার্ড ইনচার্জ সালাহ উদ্দিন জানান, গত মে মাসে কুতুবদিয়া হাসপাতালে মোট ৬৪২ রোগী ভর্তি হয়। ভর্তি রোগীর ২৭৪ জন ডায়রিয়া, ২১০ জন পেটব্যথায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাছাড়া অন্য রোগীদের মধ্যে নিউমোনিয়া রোগীও রয়েছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ২৭৪ রোগীর ১৭২ জনই শিশু। এমনও দেখা গেছে, একদিনে ২০ জন ভর্তি রোগীর ১০ জনই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। অন্যদিকে প্রচণ্ড পেটব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১০ জন। উপজেলায় বয়স্কদের মধ্যে এ সমস্যা দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২১০ জন পেটব্যথা রোগীর ১৩০ জনই বয়স্ক।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, গত কয়েক মাস প্রচষ্ড গরম ও পানিজনিত সমস্যার কারণে এসব সমস্যা দেখা যাচ্ছে। দ্বীপের মানুষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সচেতন না হওয়ায় ডায়রিয়া ও পেটব্যথার মতো রোগগুলো দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বৃষ্টির ফলে আবহাওয়া ঠাণ্ড হলে এ সংখ্যা কমে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে, দ্বীপের উত্তর ধুরুং ইউনিয়নে পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা অন্যান্য ইউনিয়নের চেয়ে বেশি হওয়ার কারণ ও প্রতিকার জানতে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আ স ম শাহরিয়ার চৌধুরীর সাথে কথা হয়। কিন্তু তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উত্তর ধুরুংসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে সুপেয় পানির সংকট রয়েছে। তাছাড়া অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারের সময় সাগরের লোনাপানিতে বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন নিয়মিত প্লাবিত হচ্ছে। লোনাপানিতে ডুবে থাকছে ঘরবাড়ি। উপজেলায় পানিবাহিত রোগ বৃদ্ধির জন্য এটাও একটি কারণ হতে পারে বলে তারা মনে করছেন।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে সুপেয় পানি সংকটের তীব্রতা। খাবার জলের জন্য মানুষের হাহাকার দেখা গেছে উত্তর ধুরুং, লেমশীখালী, বড়ঘোপ ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকায়। কিছু মানুষ বড়ঘোপ মেডিকেল গেট ও কলেজ গেটসহ বেশ কয়েকটি ডিপ টিউবওয়েল থেকে পানি ক্রয় করে ওই সব এলাকায় বিক্রি করছে। যাদের সামর্থ্য আছে তারা ক্রয় করে পানি খাচ্ছে আর যাদের সামর্থ্য নেই তার নিরুপায় হয়ে পুকুরের পানি রান্নার কাজে ব্যবহার করছে।

দ্বীপে সুপেয় পানির সংকট তীব্র হওয়ায় অদূর ভবিষ্যতে পরিবর্তিত আবহাওয়ার কারণে এসব রোগব্য‍াধি আরো বৃদ্ধির আশংকা করছেন সচেতন মহল।

সম্পর্কিত পোস্ট