নিজস্ব প্রতিবেদক: স্কুল শিক্ষার্থী বাস চাপায় নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের রেশ পর্যটন নগরী কক্সবাজারেও পড়েছে। গত শুক্রবার সারা দিনে ঢাকা চট্টগ্রাম গামী বেশির ভাগ দূরপাল্লার বাস কক্সবাজার থেকে ছেড়ে যায় নি। রাতে কিছু সংখ্যক গাড়ী ছেড়েছে তাও পরিমানে খুব কম। এতে চরম বিপাকে পড়েছে পর্যটকসহ সাধারণ যাত্রীরা। পরিবহণ সেক্টরের কর্মকর্তাদের দাবী পরিবহণ শ্রমিকরা তাদের নিরাপত্তার খাতিরে গাড়ী নিয়ে রাস্তায় নামতে চাইছে না। এখন কাউকেতো আর জোর করে গাড়ী নিয়ে রাস্তায় নামানো যাবে না। তাই নিরাপত্তার জন্য গাড়ী চলাচল বন্ধ আছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সাধুবাদ জানালেও সচেতন মহলের দাবী সেটা দীর্ঘমেয়াদী হলে সাধারণ মানুষের সমস্যা হবে সেটা বিবেচনায় নিয়ে সরকারের উচিত দ্রুত বিষয়টি সমাধান করা।
এদিকে শ্যমলী গাড়ীর কর্মকর্তা মোঃ শামীম বলেন,আমাদের প্রচুর গাড়ী প্রস্তুত আছে তবে রাস্তায় সমস্যার কারনে চালক এবং শ্রমিকরা গাড়ী ছাড়তে চাইছে না,তবুও আমরা চেস্টা করছি রাতে কিছু গাড়ী ছাড়ার জন্য এখনো ঠিক বলতে পারছি না। তবে শ্যামলী কাউন্টারে রাতে ঢাকাগামী গাড়ী টিকিট বিক্রি করতে দেখা গেছে। একই সাথে হানিফ, সোহাগ, ইউনিক সহ অনেক কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেছে কাউন্টার খোলা থাকলেও টিকিট বিক্রি বন্ধ আছে। তবে গাড়ী ছাড়বে কিনা তাই কেউ পরিষ্কার করে বলতে পারছে না। কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.কে.এম ফজলুল করিম চৌধুরী বলেন, নিরাপদ সড়ক সবার প্রত্যাশা,আমরা অবশ্যই চাইনা আমার ছেলেমেয়ে স্কুলে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরুক,যাদের হাতে গাড়ী ষ্টেয়ারিং ধরিয়ে দিচ্ছে তাদের যোগ্যতা পরীক্ষা করা উচিত। আইন থাকলেও এর প্রয়োগ এত দিন হতো আসা করি এবার সেটার প্রয়োগ হবে। তবে আন্দোলনের নামে কোন বিশৃংখলা কাম্য নয়।