বিশেষ প্রতিবেদক: কক্সবাজার ও টেকনাফে ইয়াবা পাচার রোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত টাস্কফোর্সের বিশেষ অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ মাদক বিক্রির হতে প্রাপ্ত ২৯ লাখ ১০ হাজার ৭৫৭ টাকা জব্দ করা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস ও গোয়েন্দা) ও টাস্কফোর্সের সভাপতি ড. এএফএম মাসুম রব্বানীর নেতৃত্বে গত ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দুই দিন কক্সবাজার সদর, রামু ও টেকনাফে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার প্রশাসন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের সমন্বয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদকব্যবসায়ী টেকনাফ উপজেলার নাজিরপাড়ার এনামুল হক মেম্বার, দক্ষিণ জালিয়া পাড়ার রেজাউল করিম রেজা, মৃত আব্দুল গাফফারের পুত্র মোহাম্মদ মোজাম্মেল, সাবরাং এর শামসুল আলম মার্কিন, হ্নীলার ইউপি সদস্য মোঃ নুরুল হুদা, জামাল হোসেন, হাসান আবদুল্লাহর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এছাড়া একই দিনে কক্সবাজার সদরের বাসটার্মিনাল সংলগ্ন লারপাড়ার লাল মোহাম্মদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে দেশী ১৬টি অস্ত্রসহ ৪৪৭৭৫৭ টাকা জব্দ করা হয়।
অভিযানকালে ইয়াবা পাওয়া যাওয়ায় লাল মোহাম্মদের স্ত্রী সায়েরা খাতুনকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছয় মাসের জেল প্রদান করেন।
১০ সেপ্টেম্বর তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী টেকনাফের শীলবনিয়া পাড়ার হাজী সাইফুল করিম, পুরান পল্লানপাড়ার শাহ আলম, নাজিরপাড়ার জিয়াউর রহমান, শাহ পরীর দ্বীপের আনিসুর রহমান ইয়াহিয়া ও রেজাউল করিম রেজু মেম্বারের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
রেজু মেম্বারের বাড়ি থেকে মাদক বিক্রির ২৪৬৫০০০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। রেজু মেম্বারের ভাই ফরিদ আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ সার্কেল পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) উক্ত ঘটনায় বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯০ এর সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক আটক ফরিদ আহমেদকে মূল আসামি এবং রেজু মেম্বার ও তার অপর ভাই আব্দুল মাজেদকে পলাতক দেখিয়ে টেকনাফ থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। একই দিনে কক্সবাজার সদর উপজেলার লারপাড়ার আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী মোঃ শাহজাহান আনসারী ও তার দুই ভাই রশিদ আনসারী ও আবু সুফিয়ান আনসারীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
এছাড়া রামুর জোয়ারিয়ানালার চেয়ারম্যান এম এম নুরুচ ছাফার বাড়িতেও অভিযান চালায় টাস্কফোর্সের সদস্যরা।
দুই দিনের টাস্কফোর্সের অভিযানে মোট ৭ টি মামলা দায়ের করা হয়, জব্দ করা হয় মাদকবিক্রয় থেকে প্রাপ্ত ২৯১০৭৫৭ টাকা, ১০০৫ পিস ইয়াবা, রামদা ৪টি, কিরিচ ২টি, ছোরা ১০ টি ও দামা ২টি।
অভিযানে অংশগ্রহণ করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মুজিবুর রহমান পাটোয়ারী, বিভাগীয় গোয়ান্দা কার্যালয়ের উপপরিচালক একেএম শওকত হোসেন, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল, কক্সবাজার পুলিশের সিনিয়র এএসপি সাইফুল ইসলাম, টেকনাফ থানার অফিসার ইন চার্জ রণজিৎ বড়ুয়া সহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেন জানান, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল।