বিশেষ প্রতিবেদক:কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের সদরের মেহেরঘোনা রেঞ্জাধীন মেহেরঘোনা বনবিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বনকর্মী ও বনদস্যুদের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে একজন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষে আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১০ জন। ২ বনপ্রহরী নিখোঁজ রয়েছে। ১৭ আগস্ট শুক্রবার ১৭ আগস্ট সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটেছে। আহত ও নিহতদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
গুলিবিদ্ধদের মধ্যে বনবিভাগের ৭ জন আহত ও ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। বনপ্রহরি আবদুল মান্নান, আবদুল মতিন, জসিম উদ্দিন ও বিটকর্মকর্তা মামুনের অবস্থা আশংকাজনক।
কক্সবাজার উত্তন বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা হক মাহবুব মোর্শেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গুলিবিদ্ধ ও দায়ের কুপে আহত বনকর্মীদেরকে আশংকাজনক অবস্থায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বনদস্যুদের পক্ষে নিহত হয়েছেন, মোস্তাক আহম্মদ (৩৭)। সে উক্ত এলাকার মৃত মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র।
কক্সবাজার উত্তন বনবিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা (স্পেশাল ওসি) মেহেদী হাসান জানান, একদল সশস্ত্র বনদস্যু গতকাল শুক্রবার সকালে মেহেরঘোনা বনবিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে কাঠ কাটছিল। পরে সংবাদ পেয়ে মেহেরঘোনা বনবিটের একদল বনকর্মী ঘটনাস্থলে পৌছেন। এসময় সশস্ত্র বনদস্যুরা বনকর্মীদের লক্ষ করে গুলি ছুঁড়ে এবং ধারালো দা দিয়ে বনকর্মীদের এলোপাতাড়ি কুপায়। জবাবে বনকর্মীরাও গুলি চালায়।
এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই ৭ জন বনকর্মী গুলিবিদ্ধ ও দায়ের কুপে আহত হন। আহত ৭ বনকর্মীদের উদ্ধার করা হলেও ২ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। নিহত মোস্তাক আহম্মদের মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।