এবার লকডাউন না মানলে জেলে পাঠাবো
আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে শুরু হতে যাওয়া কঠোর লকডাউন অত্যন্ত কড়াকড়িভাবে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মমিনুর রহমান।
তিনি বলেছেন, ‘সোমবার থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন শুরু হচ্ছে। মহানগরীসহ চট্টগ্রামের পুরো জেলায় এবার লকডাউন অনেক কঠোর হবে। কেবলমাত্র জরুরি পরিষেবা ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারবে না, আমরা এটি নিশ্চিত করবো।’
শনিবার (২৬ জুন) বিকাল সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে দুপুরে তিনি সেখানে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে গৃহীত কার্যক্রমের পর্যালোচনা সম্পর্কিত এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
ডিসি মমিনুর রহমান বলেন, ‘লকডাউন বাস্তবায়নে চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, আনসার, বিজিবি এবং আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা মাঠে থাকবেন। সেনাবাহিনী নামবে কিনা এটি এখনও নিশ্চিত নয়। মহানগর এলাকায় আমাদের মোবাইল কোর্টের ১২টি টিম, প্রত্যেক উপজেলায় তিনটি করে টিম কাজ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংক্রামক ব্যাধি যে আইনটি পাস হয়েছে, সেখানে বলা আছে নির্দেশনা অমান্য করলে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি জেল দেওয়ার বিধান রয়েছে। আমরা মানুষকে অহেতুক জেল দিতে চাই না। তাদের সচেতন করতে চাই। তারা যেন ঘরে থাকে। কিন্তু কেউ যদি সচেতন না হয়ে লকডাউন অমান্য করে তাহলে আমরা অবশ্যই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। আগের চেয়ে বড় অংকের জরিমানা করবো। পাশাপাশি এবার আমরা প্রয়োজনে জেলহাজতে পাঠাবো। গতবার আমরা ব্যবসায়ীদের অল্প পরিমাণ অর্থদণ্ড দিয়েছিলাম। কিন্তু এবার যদি কোনও ব্যবসায়ী আইন অমান্য করেন তাকে বড় অংকের জরিমানা করা হবে।’
মমিনুর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি যে ভ্যারিয়েন্টে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে; এটি মারাত্মক ধরনের ভ্যারিয়েন্ট। এই ভ্যারিয়েন্ট খুব দ্রুততার সঙ্গে ছড়ায়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার হাসপাতালগুলোতে যে নপরিমাণ আইসিইউ, করোনা বেড আছে; সবগুলো ইতোমধ্যে ভর্তি হয়ে গেছে। সাধারণ বেডেও ৮০ শতাংশের বেশি রোগী ভর্তি। সংক্রমণের এই হারটা আরও বাড়লে চিকিৎসা দেওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে যাবে। তাই আমরা বলবো, আপনারা সবাই মাস্ক পরিধান করুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। করোনা নিয়ে সচেতন হোন।’