প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে আসামিরা। মামলা দায়ের করার পর এই স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় আসামিরা। আত্মগোপন থেকে বিভিন্ন কৌশলে মেয়ের পরিবারকে হুমকি ধুমকিও দেয়া হচ্ছে নিয়মিত। মেয়েকে জীবিত উদ্ধার এবং আসামির হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে ভুক্তভোগি পরিবার। পরিবারটি স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে জীবিত উদ্ধারের সহযোগিতা কামনা করেন প্রশাসনের কাছে।
পরিবারের দাবী প্রশাসনের নিরভ ভুমিকার কারনে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। ওরা কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে- কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ৭ম শ্রেণির ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়া-আসার সময় নিয়মিত উত্যক্ত করত নাঈম মোহাম্মদ মাহিম নামে এক যুবক। উত্যক্তের বিষয়টি ওই যুবকের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের অবগত করে মেয়ের পরিবার। পরিবারে অবগত করার পর ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করার হুমকি দেন মাহিম।
যার ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ২৮ জুন সকালে স্কুলে এসাইনমেন্ট জমা দিতে যান এই ছাত্রী। কিন্তু এসাইনমেন্ট জমা দিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেওয়ার পর একই দিনে কক্সবাজার সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। যার নং-১৬৬৯। তারিখ-২৮-৬-২১ ইং। ডায়েরি করার পরের দিন মাহিমের ভগ্নিপতি রিদুয়ানুল হক ফোন করে অবগত করে মেয়ে তাদের হেফাজতে রয়েছে। বিষয়টি জানার পর মেয়ের পরিবার চকরিয়া মাহিমের বাসায় যায়। সেখানে সবার সাথে কথা হলেও তারা মেয়েকে হাজির করেনি এবং মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। অল্প বয়সী স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে বিয়ে দিতে অপরাগত প্রকাশ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বলে; ২৮ জুন সকালে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে থেকে জোর করে সিএনজি টেক্সীতে তুলে মেয়েকে অপহরণ করে।
ভুক্তভোগি পরিবার বলেন- আমার ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে ফেরত পেতে অনেক আকুতি করেছি তাদের কাছে। কিন্তু তারা মেয়ে দেয়নি। বরং হুমকি দিয়েছে। তাদের হুমকিতে আমার মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে শংঙ্কা বেড়ে যায়। অপহরণের পর থেকে তারা মেয়েকে আত্মগোপনে রেখেছে। দীর্ঘ চেষ্টায় মেয়েকে উদ্ধার করতে না পেলে মেয়ের মা বাদি হয়ে ৫ জনের পরিচয় উল্লেখ করে কক্সবাজার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- চকরিয়া ৫নং ওয়ার্ড সওদাগর ঘোনা এলাকার নুরুন্নবীর ছেলে নাঈম মোহাম্মদ মাহিম (২০), নুরুন্নবীর স্ত্রী শাহানাজ বেগম (৩৮), চকরিয়া সবুজবাগ এলাকার জিয়া (২০), চকরিয়া কাকারা মাঝের ফাঁড়ি এলাকার হারুন অর রশিদের ছেলে রিদুয়ানুল হক (৩০) ও চকরিয়া সওদাগর ঘোনা এলাকার মৃত মোস্তাক আহমদের ছেলে আলী আহমদ (৪৫)। মামলায় ৩ থেকে ৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। চলতি বছরের ৩ জুলাই মামলাটি দায়ের করা হয়।
ভুক্তভোগি পরিবারের অভিযোগ- এখনো পর্যন্ত আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি। তাছাড়া একজন আসামিও আটক হয়নি। তারা আমাদের ১৩ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে হয়ত আত্মগোপনে চলে গেছে। মাহিম ও জিয়া নামে দুই যুবকের নেতৃত্বে প্রথমে অপহরণ করা হয়েছে আমার মেয়েকে। এরপর মাহিমের পরিবার আমার মেয়েকে আত্মগোপনে নিয়ে যায় হয়ত। বিভিন্নভাবে অপহরণকারীরা কৌশলে হুমকি দিচ্ছে। পরিবারটি মেয়েকে জীবিত উদ্ধারের দাবী জানান সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট। একই সাথে এসব অপহরণকারীদের দেখলে ০১৮৩৬৪৮৩২৪৮ এই নাম্বারে অবগত করার অনুরোধ করেন ভুক্তভো