রাজমিস্ত্রি থেকে ইয়াবার ছোঁয়ায় কোটিপতি বনে গেছেন কক্সবাজার শহরের পূর্ব পাহাড়তলীর ইসুলুর ঘোনার মৃত আব্দুর রহিমের বড় ছেলে শামসুল আলম ওরফে (শামসু মিস্ত্রি) ।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে শামসু মিস্ত্রির মা নুরজাহান এবং তার রুবি আক্তার ও বোনের জামাই মোঃ সোহেল ইয়াবা পাচারের সময় ঢাকা যাওয়ার পথে কুমিল্লায় পুলিশের হাতে আটক হয়। কিন্তু ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেলেন ইয়াবার গডফাদার শামসুল আলম ।
কক্সবাজার শহরে দিন দিন বেড়েই চলেছে মরণনেশা ইয়াবার বিস্তার। প্রশাসনের কঠোরতা নজরদারির সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে নতুন ইয়াবা কারবারির নাম। তার মধ্যে হচ্ছে একজন বর্তমান আলোচিত মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মোঃ শামসু আলম ওরফে শামসু মিস্ত্রি।
সূত্র মতে এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শামসু মিস্ত্রি কন্ট্রাকশন এর কাজের জন্য টেকনাফে বড় বড় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দু-তিনটা বিল্ডিং নির্মাণ করেন। সেই সুবাদে
টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে যায় তারপর থেকে শুরু ইয়াবা ব্যবসা ।
বিভিন্ন কৌশলে টেকনাফ থেকে কক্সবাজারে নিয়ে আসেন ইয়াবা।
তারপর তিনি গোপনে তার মা নুরজাহান বেগম চার বোন রুবি তার বোনের জামাই সোহেল তার ছোট ভাই রুবেল সহ মাহমুদ আলম স্ত্রীকে দিয়ে বিভিন্ন ইয়াবা পাচার করতো। এই সর্বপ্রথম তার ইয়াবা চালান তার মা-বোনসহ বোনের জামাই পুলিশের হাতে আটক হন এখন বর্তমানে জেলে আছে। তারা হয়তো কিছু দিন পর জামিনে মুক্তি পেয়ে যাবেন।
এদিকে শামসু মিস্ত্রি এখনও গোপনে তার ছোট ভাই রুবেল কে দিয়ে এলাকার আরো কিছু ইয়াবা ব্যবসায়ী আছেন তাদের সাথে মিলে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। আরো খোঁজ নিয়ে জানা যায় শামসুল আলম একসময় রাজমিস্ত্রি কাজ করতো তখন কিছু ছিলনা। তার বর্তমানে আছে তিনতলা ভবন। সে এখন অনেক সম্পদের মালিক। দামী মোটরসাইকেল নিয়ে চলাফেরা করেন।
তিনি গোপনে প্রচুর অর্থ-সম্পদ করেছেন ইয়াবা ব্যবসা করে।
শামসুল আলম ওরফে শামসু মিস্ত্রি বাড়ি নির্মাণের কাজ কম মজুরি দিয়ে নিয়ে থাকেন। কারণ তার আসল ব্যবসা হচ্ছে ইয়াবা, ওখান থেকে ইনকাম দিয়ে চলে রাজমিস্ত্রি ও ঠিকাদারি কাজ।
এলাকার সচেতন মহলের দাবি, দ্রুত শামসুল আলম ওরফে শামসু মিস্ত্রি এবং তার সহযোগী তার ছোট ভাই রুবেল সহ এলাকার আরো অনেকে আছেন ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনার হউক।
তাছাড়া এখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ইয়াবা লোকজন ব্যবসার সাথে যুক্ত হচ্ছে। পুরাতন ব্যবসায়ীরা এলাকায় ফিরে এসে আবার পুনরায় ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আগে যারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল তারা চিহ্নিত নামকরা ইয়াবা ব্যবসায়ী। ইদানিং এলাকাতে ফিরে এসে পূনরায় ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।