বিশেষ প্রতিবেদক: র্যাবের হাতে আটক হওয়া টেকনাফ-ঢাকা ভিত্তিক ইয়াবা সিন্ডিকেটের ৬ সদস্যের মধ্যে মিরাজ উদ্দিন নিশান নামে এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে কেন্দ্র করে জেলা জুড়ে চলছে তোলপাড়। গত বুধবার ২ লাখ ৭ হাজার ১’শ ইয়াবা এবং মাদক বিক্রির ১৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকাসহ চক্রের ছয়জনকে আটক করে র্যাব। আটক ইয়াবা সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে কক্সবাজারের মহেশখালী পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামীলীগ নেতা মকছুদ মিয়ার বড় ছেলে মিরাজ উদ্দিন নিশানও রয়েছে। উক্ত ঘটনায় কক্সবাজার জেলাজুড়ে নানা আলোচনাসহ মেয়র পরিবার নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা।
জানাগেছে, কক্সবাজারের মহেশখালী পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামীলীগ নেতা মকছুদ মিয়ার ছেলে ইয়াবাসহ আটক হওয়ার ছবি ও নিউজ ফেসবুকসহ নানা যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এদিকে ধৃতদের স্বীকারোক্তি মতে র্যাব জানতে পারে, টেকনাফ ও কক্সবাজার থেকে সড়কপথে এবং কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বড় বড় ইয়াবার চালান পাঠানো হয় রাজধানী ঢাকায়। পরে সেসব ইয়াবা অভিজাত এলাকার ভাড়া বাসায় নিয়ে মজুদ করার পর সুযোগ মত ঢাকার বিভিন্ন ক্রেতার কাছে সরবরাহ করতো আটক চক্রের সদস্যরা। এনিয়ে র্যাব সদস্যরা কৌশলে ইয়াবা এজেন্ট আব্দুল আমিন ও তার সহোদর নুরুল আমিনসহ ওই চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। ধৃত টেকনাফের আব্দুল আমিন ও নুরুল আমিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী।
সূত্রে জানা যায়, ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের একটি বিলাস বহুল বাসার নিচ থেকে মেয়রের ছেলে মিরাজসহ চারজনকে ৩৫ হাজার ইয়াবাসহ আটক করার পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে জহির ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মমিনুলকে আটক করা হয়। ওই বাসা ও তাদের দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে অপর একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় বাকি ইয়াবা ও নগদ টাকা। এ ঘটনায় কক্সবাজার জেলাজুড়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।
এ নিয়ে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের এক নেতা জানান, মেয়র ও আওয়ামীলীগ নেতার ছেলে ইয়াবা নিয়ে আটক হওয়ার ঘটনাটি জেলাজুড়ে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কারা জড়িত তা তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, মাদক ব্যবসায়ী যেই হোক সরকার তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে বদ্ধ পরিকর। ওই সুত্রটি ইয়াবাসহ মাদক কারবার বন্ধ করার জন্য প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে। এব্যাপারে মহেশখালী পৌর মেয়র ও আওয়ামীলীগ নেতা মকছুদ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।