ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাইতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ!
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাইতে গিয়ে এক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শনিবার (৩১ জুলাই) ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
মামলায় উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবকে (৪৫) অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি খামারকান্দি গ্রামের ফয়েজ উদ্দীনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের এক গৃহবধূ এক বছর আগে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই আব্দুস সালামকে সাড়ে তিন লাখ টাকা ধার দেন। কিন্তু টাকা নেয়ার পর থেকেই যোগাযোগ বন্ধ করে দেন ওই ব্যক্তি। সেইসঙ্গে টাকা পরিশোধে নানা রকম তালবাহানা করতে থাকেন। এমনকী উক্ত পাওনা টাকা দিতে অস্বীকারও করেন তিনি।
এছাড়া বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করতেও হুমকি-ধামকি দেয়া হয় ওই গৃহবধূকে। একপর্যায়ে টাকা আদায় ও ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে বিচার চাইতে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের শরণাপন্ন হন ওই নারী। পরবর্তীতে শুক্রবার (৩০ জুলাই) সকালে বিচারের কথা বলে তাকে পৌর শহরের জগন্নাথপাড়াস্থ ভাড়া বাসায় ডেকে নেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান। এরপর তিনি ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বলেন, ‘পাওনা টাকা তুলে দেয়া ও বিচারের কথা বলে আমাকে চেয়ারম্যানের বাসায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাসায় গিয়ে দেখি কেউ নেই। দুইদিন আগেই সন্তানদের নিয়ে তার স্ত্রী বাবার বাড়ি বেড়াতে যান। তাই বাসায় শুধু চেয়ারম্যান একাই ছিলেন। এ সময় কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই তিনি জোরপূর্বক আমাকে ধর্ষণ করেন।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে খামারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং আসন্ন ইউপি নির্বাচন থেকে দূরে সরে রাখতেই পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর জন্যই আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।’
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওই নারী ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ভুক্তভোগী নারীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শনিবার বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেইসঙ্গে আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।