ঢাকাবুধবার , ৭ নভেম্বর ২০১৮
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আজ আখেরী মোনাজাত দিয়ে সমাপ্ত হচ্ছে ইজতেমা

প্রতিবেদক
সিএনএ

নভেম্বর ৭, ২০১৮ ১২:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জসিম সিদ্দিকী: কক্সবাজারে শুরু হওয়া ২ দিনের ইজতেমার প্রথম দিনে বিপুল পরিমাণ লোক সমাগম হয়েছে। ইজতেমার নির্ধারিত সীমানা পেরিয়ে আশপাশে অবস্থান নেয় আগত মুসল্লীরা।
শুরুর দিনে অন্তত ২ লাখ লোক অংশগ্রহণ করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ৭ নভেম্বর বাদ মাগরীব আখেরী মোনাজাত। এতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া করা হবে বলে জানান আয়োজক কমিটির সদস্য মাওলানা মোহসেন শরীফ।
কক্সবাজারে দেওবন্দপন্থি তাবলীগ জামাতের ২ দিনব্যাপী ইজতেমা ৬ নভেম্বর ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়েছে। সকালে বয়ান করেন মুফতি মাওলানা মোরশেদুল আলম চৌধুরী। এরপর কিত্তা ও হালকাওয়ারী তালিম চলে। বাদে জুহর আলোচনা করেন কাকরাইলের প্রধান মুরব্বি আহলে শুরা হাফেজ ক্বারী মাওলানা জুবাইর আহমদ। বাদ আছর আলোচনা করেন কক্সবাজার তাবলীগ জামাতের মুখপত্র মাওলানা আতাউল করিম, প্রকৌশলী আবদুল মুকিব এর সন্তান মাওলানা আবদুল বার। রাত ১০ টার দিকে এশার নামাজ শেষে প্রথম দিনের কার্যক্রম সমাপ্ত হয়।
সমাপনী দিন ফজরের নামাজের পর চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মুহাদ্দিস মুফতি মাওলানা জসিম উদ্দিন আলোচনা করেন। সকাল ৯টা থেকে জেলার শীর্ষস্থানীয় আলেমগন আলোচনা করেন। তারা তাবলীগে সৃষ্ট মতানৈক্য নিয়ে আলোচনা ও সংকট সমাধানের দিকনির্দেশনা দেন। মাগরীব নামাজের পর আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এদিকে, ২ দিনব্যাপী ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। প্রথম দিনের আয়োজনে কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা দেখা যায়নি। ইজতেমা এলাকায় তিন স্তরে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশের ৩৬২ সদস্য। সেখানে সাদা পোশাকধারী রয়েছে ৫২ জন। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, সফলভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।
কক্সবাজার তাবলীগ জামাতের মুখপত্র মাওলানা আতাউল করিম জানান, ইজতেমার মূল তাবুর বাইরে ৮ উপজেলার জন্য ১০টি খিত্তা (অবস্থানের তাবু), মুরব্বি, ওলামা মাশায়েশ ও ভিআইপিদের জন্য ১টি করে খিত্তা তৈরী করা হয়েছে।
ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য অস্থায়ীভিত্তিতে আড়াইশ টয়লেট, ৫০টি ডাস্টবিন এবং প্রায় ১০০ টিওবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে ৪টি পাহারাঘর। নিয়োজিত করা হয়েছে প্রায় ৭০০ স্বেচ্ছাসেবক।

সম্পর্কিত পোস্ট