নিউজ ডেস্ক : অমাবশ্যার উচ্চ জোয়ারের পানিতে গতকাল রবিবার কক্সবাজারের দ্বীপাঞ্চল ও উপকূলীয় নিচু এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ সময় জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন-চার ফুট করে বৃদ্ধি পেয়ে সয়লাব করে দিয়েছে উপকূলীয় এলাকা।
অমাবশ্যা তিথিতে উপকূলীয় এলাকায় বয়ে যাচ্ছে প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া। ঝড়ো হাওয়ার কারণেই সামুদ্রিক জোয়ারের পানি ফুঁসে উঠে প্লাবিত করে দিচ্ছে উপকূলের নিচু এলাকা। গত দুই দিন ধরেই উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। গতকাল রবিবার সকাল থেকে সাগরে ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ বৃদ্ধি পায়। এতে দিনের বেলায় জোয়ারের পানিও বাড়তে থাকে। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ পূর্ণ জোয়ারের সময় বাতাসের প্রচণ্ডতায় একের পর এক সামুদ্রিক ঢেউ আঁছড়ে পড়ে উপকূলীয় তীরে। সামুদ্রিক উচ্চ জোয়ারের পানিতে গতকাল দুপুরে কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়ির ঝাউবিথী প্লাবিত হয়। এমনকি সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্টে সামুদ্রিক জোয়ারের পানির তোড়ে ঝাউবিথীর বেশ কিছু সংখ্যক গাছ ভেসে গেছে। সেইসঙ্গে সাগরের জোয়ারের পানি উঠে আসে বিয়াম ফাউন্ডেশন পর্যন্ত। সামুদ্রিক জোয়ারের পানির তোড়ে অব্যাহত ভাঙনের কারণে ডায়াবেটিক পয়েন্ট এখন হুমকির মুখে পড়েছে। আগামী তিন দিন পর্যন্ত সাগরের পানির উচ্চতা বাড়তে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে, সামুদ্রিক জোয়ারের পানিতে কুতুবদিয়া ও মহেশখালী দ্বীপেরও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। কুতুবদিয়া দ্বীপের বড়ঘোপ, আলী আকবর ডেইল, উত্তর ধুরং এবং মহেশখালী দ্বীপের ধলঘাটা এবং মাতারবাড়ীর নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার কয়েক শ বাড়িঘরের বাসিন্দা জোয়ারের পানিতে দুর্ভোগের মুখে পড়েছে।
সুত্র-কালের কন্ঠ