
সংবাদ সম্মেলনে তৌফিক ইমরোজ খালিদি বলেন, সম্প্রতি জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাস ফেসবুকে দেবী দুর্গার ছবি দিয়ে সবাইকে শারদীয় দুর্গা পুজার শুভেচ্ছা জানান। পরে সেই ছবিতে গালাগালিসহ প্রচুর নেতিবাচক মন্তব্য পড়ে। এগুলো মোকাবিলার জন্য কী পরামর্শ দেবেন?
এ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ধরনের নোংরামি যেন না হয়, সেই জন্যই সাইবার সিকিউরিটি আইন করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন নোংরামি গোটা বিশ্বের জন্যই বড় ধরনের সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। আমাদের সাংবাদিকরা এসব ঘটনা মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশা করি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, লিটন দাস এত ভালো খেলেছে, তাকে কেন এমন বলা হলো আমি জানি না। আমি ব্যস্ত থাকায় এগুলো দেখতে পারিনি। তবে যারা এই ধরনের কাজ করে, তারা বিকৃতমনা। এদের কোনো নীতি-টিতি নেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিষোদ্গার ও ‘নোংরামি’র বিরুদ্ধে লড়তেও কাজে লাগবে।
এর আগে শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বসভায় বাংলাদেশকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরা ও বাংলাদেশের ইমেজকে আরও সুদৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, ছয় দিনের জাতিসংঘ সফরে ১৮টি ইভেন্টে অংশ নিয়ে আমরা এবার বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরেছি।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর দুই পাশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। ওই দিন লন্ডন পৌঁছান তিনি। সেখানে দু’দিন যাত্রাবিরতি শেষে ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেদিন সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় অংশ নেন তিনি। এই জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেওয়া ছাড়াও তিনি বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন।