ঢাকাবুধবার , ৯ জানুয়ারি ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কক্সবাজারে সিন্ডিকেটের কারসাজিতে ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার

প্রতিবেদক
সিএনএ

জানুয়ারি ৯, ২০১৯ ৬:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

তারেকুল ইসলাম:নির্বাচন পরবর্তী কক্সবাজারে বেড়েছে চালের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বস্তা (৫০ কেজি) প্রতি বেড়েছে একশ’ থেকে দেড়শ’ টাকা। দাম বৃদ্ধির জন্য মিল মালিক সিন্ডিকেটকেই দায়ী করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তবে সরকারের চাল সংগ্রহ কর্মসূচি শেষ হলে বাজার আবার স্থিতিশীল হবে বলে অভিমত রাইচ মিল মালিকদের। কিন্তু পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভিন্ন কথা। বোরো মৌসুমের ধান উৎপাদন হয়েছে প্রচুর। কিন্তু তা এখনো বাজারে আসেনি। যৎ সামান্য যা আসছে সেগুলো নতুন ধান। পুরাতন ধানের সরবরাহ কম হওয়াতে এখন চালের দাম কিছুটা চড়া। এদিকে, ১০ দিনের ব্যবধানে মিল পর্যায়ে চালের দাম বেড়েছে বস্তায় (৫০ কেজি) ২১০ থেকে ২৫০ টাকা বা মণপ্রতি ১৫৮ থেকে ১৮৭ টাকা। মিল পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পাইকারিতে পুরোপুরি পড়তে আরো কিছুটা সময় লাগবে। তারপরও এরই মধ্যে পাইকারিতে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা চালের দাম ১২০ থেকে ১৪৫ বা মণপ্রতি ৯০ থেকে ১১০ টাকা বেড়েছে। আর খুচরা পর্যায়ে বেড়েছে কেজিতে ৪ টাকা পর্যন্ত। মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে এতদিন লোকসানে চাল বিক্রির কথা বলছেন মিল মালিকরা। মিল পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধিকেও কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। সরকারিভাবে চাল সংগ্রহকে আরেকটি কারণ হিসেবে দেখছেন তারা। পাইকারী বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন উপজেলার খুচরা বাজারে। বিভিন্ন হাট বাজারে মোটা চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। গেল এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারী বাজারে ৫০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তায় দাম বেড়েছে একশ’ থেকে দেড়শ’ টাকা। হঠাৎ করেই মোটা চাল কেজি প্রতি ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় বেশ বেকায়দায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের লোকজন। আবু আহমেদ নামে এক ব্যবসায়ী জানান, মিল মালিকরা বলছে বড় বড় অটোরাইস মিলের মালিকরা প্রচুর পরিমান ধান ও চাল মজুত করে রেখেছে। তারাই কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এ ব্যবসায়ী। পাইকারি বাজার চাল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পুরান চিকন চাল (সিদ্ধ) কেজিতে ৩টাকা বেড়ে ২৭ থেকে ২৮ টাকায় এবং নতুন মোটা চাল (সিদ্ধ) ৩টাকা বেড়ে ২৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, নতুন চিকন চাল (আতপ) ৩টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৮টাকা কেজিতে। পুরান চিকন চাল (আতপ) ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায় বিক্রি করছেন পাইকারী ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার রাইচমিল মালিক সমিতির সভাপতি কাজলের সাথে। তিনি জানান, পুরান ধান শেষ হওয়াতে এখন দাম একটু বেশি। নতুন ধান আসলে আবার কমে যাবে। আবার আমদানি চালে ২৫ শতাংশ ট্যাক্স এবং আরডি ৩ শতাংশ মোট ২৮ শতাংশ থাকাতে ৫০ কেজি চালের বস্তায় ৩ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকা খরচ বেশি হচ্ছে। ফলে চাল আমদানি করছেন না ব্যবসায়ীরা। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে ট্রাক প্রতি ভাড়া ১০-১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল। তবে স্কেল বসানোটা একটা বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে ট্রাক চালকদের অভিযোগ। যদি স্কেল না থাকতো তাহলে আরও সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব হতো। এতেও কিছুটা প্রভাব পড়েছে চালে। এছাড়া কয়েক মাস ধরে বস্তাপ্রতি ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা লোকসানে থাকায় ব্যবসায়ীরা এখন বাড়তি দামেই চাল বিক্রি করছে বলেও জানান এই ব্যবসায়ী।

সম্পর্কিত পোস্ট