ঢাকাবুধবার , ৭ নভেম্বর ২০১৮
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গ্যাস সংকটে নগরবাসি:পাইপলাইনে ফাটল!

প্রতিবেদক
সিএনএ

নভেম্বর ৭, ২০১৮ ৯:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

তারেকুল ইসলাম : তীব্র গ্যাস সংকটে নাকাল হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম শহরে বসবাসরত নগরবাসীর জনজীবন। আর কক্সবাজারের মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনালের সঙ্গে সমুদ্রের তলদেশের পাইপলাইনের মধ্যবর্তী সংযোগস্থলের হাইড্রোলিক ভাল্বটি নষ্ট হয়ে গেছে। এতে গ্যাস সরবরাহ বিঘিœত হচ্ছে। ফলে আক্রান্ত এলাকায় গ্যাস সংকটের কারণে অনেক বাসা-বাড়িতে রান্নাবান্নার কাজে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পেট্রো বাংলা সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ১৮ আগস্ট থেকে এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। কিন্তু পানির তলদেশে ৪০ মিটার নিচে থাকা হাইড্রোলিক ভাল্বটি ৩ নভেম্বর অতিরিক্ত চাপে অকার্যকর হয়ে পড়ে। ফলে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ কমে গেছে।
গ্যাস সংকট সম্পর্কে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রবিউশন কোম্পানির ম্যানেজার কাস্টমার মেন্টেনেন্স অনুপম দত্ত জানান, এলএনজি সাগরতলের বাল্বটি মেরামতের জন্য এক্সিলেটর এনার্জি কাজ শুরু করেছে। তবে সাগরের স্রোত এবং জোয়ার-ভাটা বুঝে কাজ করতে হচ্ছে। বাল্বের লিক মেরামতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে বলে জানিয়েছে এক্সিলেটর এনার্জি।
সূত্রমতে, ৬ নভেম্বর জাতীয় গ্রিড থেকে ২২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ পাওয়া গেছে। এ সরবরাহ আরো বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এদিকে সংকট সৃষ্টি হওয়ায় গ্যাস নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) কর্তৃপক্ষ। এতে বন্ধ হয়ে গেছে চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার (সিইউএফএল)। একইসঙ্গে ২ শতাধিক শিল্প কারখানার উৎপাদন কমে গেছে। সিএনজি স্টেশনে কমে গেছে গ্যাসের চাপ। বাসা-বাড়িতে গ্যাস না থাকায় গৃহিণীরা কেরোসিন স্টোভ, ইলেকট্রিক চুলা ও ইট দিয়ে অস্থায়ী চুলা তৈরি করে রান্নার কাজ সারছেন।

জানা গেছে, এলএনজি টার্মিনাল থেকে ৩৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পায় কেজিডিসিএল। বর্তমানে গ্যাস সরবরাহ ২০০ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে এসেছে। গ্রাহকদের কাছে জাতীয় গ্রিড থেকে পাওয়া গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। বর্তমানে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। এলএনজি সরবরাহের মাধ্যমে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট দেয়া হতো। পাইপলাইনে ত্রুটির ফলে এখন গ্যাস সরবরাহ ২৭০ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে এসেছে।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মহেশখালীর মাতারবাড়ী টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটি সারাতে কাজ করছে এলএনজি সরবরাহে দায়িত্বপ্রাপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি অ্যাক্সিলারেট অ্যানার্জি। প্রকৌশলী অনুপম দত্ত বলেন, ৩ নভেম্বর রাতে এলএনজি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। আগামী ১৫ নভেম্বরের আগে এলএনজির সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই আপাতত জাতীয় গ্রিড থেকে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সম্পর্কিত পোস্ট
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com