ঢাকাশনিবার , ১২ জানুয়ারি ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণের সুযোগ এসেছে

প্রতিবেদক
সিএনএ

জানুয়ারি ১২, ২০১৯ ৬:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আব্দুল আলীম নোবেল, কক্সবাজার:: জলদস্যুদের পর এবার ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আতœসমর্পণের সুযোগ এসেছে। অন্ধকার জগত থেকে সুপথে ফেরাতে তাদের বিষয়ে প্রশাসক অনেকটা ইতিবাচক।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, দেশের সর্বদক্ষিণের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণে সম্মতি জানিয়েছেন সরকারের সর্বোচ্চ মহল। চলিত জানুয়ারীর শেষ সপ্তাহের যে কোন একদিন আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের দিন ধার্য্য করা হতে পারে।
স্বেচ্ছায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আগ্রহীরা আগামি ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করে তালিকাভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে বলে নির্ভারযোগ্য সুত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের একটি দল আত্মসমর্পণের আগ্রহ প্রকাশ করে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টুয়েন্টিফোর এর প্রতিবেদক আকরাম হোসেন এর কাছে। ফলে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টুয়েন্টিফোর এর উদ্যোগে বিষয়টি জানানো হয় সরকারের উর্ধ্বতন মহলে।
এ প্রেক্ষিতে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণের এ প্রক্রিয়াকে সফল করতে হতে গত এক মাস ধরে মাঠে কাজ করছেন পুলিশ কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের বিশেষ একটি দল। ইতিমধ্যে অনেক ইয়াবা ব্যবসায়ী পুলিশের এই বিশেষ দলের হেফাজতে চলে এসেছে।
চ্যানেল টুয়েন্টিফোর এর প্রতিবেদক আকরাম হোসেন জানান, ইতিমধ্যে শীর্ষ মানের অনেক ইয়াবা ব্যবসায়ীসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক স্বেচ্ছায় পুলিশের বিশেষ দলটির হেফাজতে চলে এসেছে। বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ মহলকে অবহিত করা হয়েছে। আত্মসমর্পণে আগ্রহীরা ১৫ জানুয়ারির মধ্যে তালিকাভুক্ত হতে হবে। এ তালিকা তৈরী হওয়ার পর আইনগত দিক বিবেচনা করে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে।
তিনি জানান, কিছুদিন আগে মহেশখালীতে জলদস্যূদের একটি অংশ সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করে। তারা বর্তমানে জেলা কারাগারে রয়েছে।
আকরাম হোসেন জানান, কারাগারে থাকা জলদস্যূদের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে সেখানে থাকা বেশ কিছু ইয়াবা ব্যবসায়ী সুপথে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করে। নিজের ভুলের স্বীকৃতি দেয়। বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্টদের অবহিত করলে সরকারও তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। যার পর থেকে শুরু হয় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়া।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য মতে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকা মতে কক্সবাজার জেলায় ১ হাজার ১৫১ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী আছে। যাদের মধ্যে বেশিভাগ সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে। টেকনাফ থেকে সারা দেশে ইয়াবা পাচার হয়ে আসছে।
সরকার মাদক নিয়ন্ত্রণে যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকে টেকনাফ কেন্দ্রিক বিশেষ অভিযান শুরু হয়। এ অভিযানের অংশ হিসেবে গত আড়াই মাসে টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরিক দ্বন্ধ, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে ২৩ জন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। যার মধ্যে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে প্রাণ হারায় ১৯ জন।

সম্পর্কিত পোস্ট
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com